বাড়ির বাস্তু জ্ঞানঃ
১। উত্তর পূর্ব দিকঃ জমি বা বাড়ির উত্তর পূর্ব দিক বা কোনকে ঈশান কোন বলা হয়। বাস্তু মতে এই কোনের গুরুত্ব অপরিসীম। ঈশান কোনে বাস্তু দেবতার মাথা থাকে। বাস্তুশাস্ত্র মতে এই দিকটি ব্যক্তি বা পরিবারের বর্তমান ও ভবিষ্যৎএর সৌভাগ্য, অদৃষ্ট, আকস্মিক ঘটনা, বরাত ইত্যাদী নির্দেশ করে। বাস্তুর ঈশান কোনে যদি কোন সমস্যা থাকে তবে তা পরিবারের বা ব্যক্তির দুর্ভাগ্যের ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। আইনি সমস্যা, হঠাৎ দুর্ঘটনা, শারীরিক সমস্যা, অস্ত্র প্রচার, জীবনে নানান সমস্যার মুখোমুখি হতে পারে, পারিবারিক সমস্যা, ব্যবসায় সমস্যা, ব্যবসায়ীক ওর্ডার বাতিল হওয়া, বিবাহ বিচ্ছেদের সমস্যা, অত্যধিক টাকা পয়সা খরচ, পাওনা টাকা আটকে থাকা এই সব নানান সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই দিকে কোন স্নানাগার, বাথরু্ম, সিঁড়ি, রান্নাঘর বা কোন স্টোররুম না থাকে এবং কোন ভারী জিনিস যেন না থাকে। উত্তর পূর্ব দিকটার দিকে আমাদের খুবই নজর দেওয়া উচিৎ। যদি কোন স্নানাগার বা বাথরু্ম থাকে তবে তার প্রতিকার আগে ক্রিয়ে নিন।
২। উত্তর পশ্চিম দিকঃ এবার আসা যাক উত্তর পশ্চিম দিকে। এই কোনটিকে বায়ু কোন বলা হয়। বায়ু কোনে যদি কোন গর্ভস্থ জলাধার থাকে বা মন্দির থাকে বা রান্নাঘর থাকে বা প্রধান প্রবেশ পথ থাকে তবে পরিবার বা জাতক এর শত্রুতা, সরকারী আইনি সমস্যা, বন্ধুবান্ধব বা আত্মীয়স্বজন এর সাথে বিচ্ছেদ, মনসিক সমস্যা, অসময় মৃত্যু, হৃদপিন্ডের সমস্যা এই সব সমস্যাগুলি দেখা দিতে পারে। এই সমস্যার সমাধান করা বিশেষ প্রয়োজন।
৩। দক্ষিন পূর্ব দিকঃ দক্ষিন পূর্ব দিক যদি কোন বাস্তুর খারাপ হয় তবে বাড়িতে অগ্নি কান্ডের সম্ভাবনা থাকে, বাড়িতে অহেতুক চুরির ভয় থাকে, বাড়িতে কোন শুভ অনুষ্ঠান হতে বাধা হয় বা অনুষ্ঠান হয় না, বাড়ির মা বোনেদের বা মহিলাদের মধ্যে মানসিক শান্তি থাকে না, পরিবারের লোকজনেদের শরীর স্বাস্থ্য ভালো যায়না। পরিবারের লোকজনেদের মধ্যে বাস্তবিকতা বা নিজেদের উপর আস্থার অভাব থাকে। এটি অগ্নি কোন। এই দিকে কোন প্রধান প্রবেশ পথ না রাখাই ভালো, কোন কুঁয়া বা সেপ্টিক ট্যাঙ্ক না থাকা ভালো।
৪। দক্ষিন পশ্চিম দিকঃ দক্ষিন পশ্চিম দিক যদি কোন বাস্তুর খারাপ হয় তবে পরিবারে অহেতুক খরচ বেড়ে যাবে, কিছু অসংলগ্ন স্বভাব লক্ষ্য করা যায়, অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ ডেকে নিয়ে আসে, টাকা পয়সা চুরি হোয়ার সম্ভাবনা থাকে, পারিবারিক সমস্যার জন্য স্বামী স্ত্রীর মধ্যে সম্পর্ক ধীরে ধীরে খারাপ হয়, চাকুরী ক্ষেত্রে উন্নতিতে বাধা সৃষ্টি হয়, বন্ধুবান্ধবদের দ্বারা বা সহকর্মী দ্বারা প্রতারিত হওয়ার সম্ভাবনা, বিবাহ যোগ্য স্ত্রী পুরুষদের বিবাহ হতে দেরী হয়, আর্থিক ক্ষতির সন্মুখিন হতে হয়। আমাদের বাস্তু ভিটার দক্ষিন পশ্চিম কোনে বা দিকে কোন ম্নদির না করা উচিৎ, কোন রান্নাঘর না করা ভাল, এই কোনে মাটির নিচে কোন জলাধার না থাকা উচিত ও ভুগর্ভস্থ কোন ঘর না করা ভালো।
৫।নতুন জমি কিনা যারা বাড়ি করছেন তারা অবশ্যই বাস্তু মেনে বাড়ি করার চেষ্টা করুন। কিন্তু যাদের বাড়ি আছে কিন্তু বাস্তু মেনে তা হয়নি তাদের বাস্তু প্রতিকার প্রয়োজন। এবার তা নিয়ে আলোচনা করবো। দেখুন, যে বাড়ি তৈরী হয়ে গেছে এবং তাতে বাস্তু সমস্যা আছে তাকে ঠীক করার জন্য বাড়িতো ভেঙ্গে ফেলা যায়না, না ভেঙে তাকে একটু এদিক ওদিক করে বা স্থান পরিবর্তন করে তাকে যতটা সম্ভব ঠিক করতে হয়। ঘরের স্থান পরিবর্তন করে, কিছু আসবাবপত্রর স্থান পরিবর্তন করে, কিছু জিনিসকে বাতিল করে, কিছু পুরাতনকে নতুন করা এই সব নানান উপায় অবলম্বন করে বাস্তু ঠিক করতে হয়। জেনে নেওয়া যাক কিছু উপায়। কর্পুর সাধারণত পূজার কাজে আমরা ব্যভার করে থাকি। বিশুদ্ধ কর্পুরের ডেলা বাস্তুতে রাখতে পারলে বাড়ির অশুভ ভাব বা শক্তি বা স্পন্দঙ্কে দূর করে, অস্বাস্থ্যকর ভাব বা নিরুদ্যম ভাব বা স্রোতোহীন বন্ধাবস্থা ভাবগুলিকে কাটায়। বাস্তু দোষের বিভিন্ন ভাবকে কাটানোর জন্য আয়নার ব্যভার করা হয়, স্টহিক ভাবে এর ব্যবহার হলে অনেক দোষ কেটে যায় নচেৎ হিতে বিপরীত হয়। তামার তার বা তামার পাত বাস্তুতে বেশ ভালোই ব্যবহার হয়, জ্যোতিষেও এর ব্যবহার আছে। বিশেষ করে যন্ত্রম তৈরীতে তামার ব্যবহার বেশি হয়। এই তামা দিয়ে বাস্তুর অনেক দোষ নিবারন করা যায়। এক সুরে বাঁধা ঘণ্টা বা ঐকতান বদ্ধ ঘণ্টার ধবনি যার থেকে রুনুঝুনু আওয়াজ বের হয় এমন ঘণ্টা বাস্তুতে টাঙ্গাতে পারলে তা বাস্তুতে দুর্ভাগ্যকে দূরে সরিয়ে সৌভাগ্য নিয়ে আসে। অনেক বাড়িতে দেখবেন একই তারে কিছু সরু পাইপ ঝুলছে যা বাতাসে নড়ে টুংটাং আওয়াজ করছে, এগুলিও অনেক কাজে দেয় তবে এগুলি বিশেষ ধাতুতে তৈরী হওয়া প্রয়োজন। বাড়ির রং বা ঘরের রং বাস্তু মতানুসারে করলে অনেক বাস্তু দোষ কেটে যায়। বাস্তুতে আনন্দের আবহ তৈরী হয়, প্রেরণাদায়ক পরিবেশ তৈরী হয়।
এছাড়া আমরা অনেকেই কৃষ্টাল বল বা পিরামিড বা পেন্সিল ব্যবহার করে থাকি। এই কৃষ্টাল বল বা পিরামিড বা পেন্সিল আমাদের ঘরে যে ঋণাত্মক রশ্মি বা যে ঋণাত্মক গ্রহ প্রভাব আছে তাকে সরিয়ে ধণাত্মক প্রভাব বা রশ্মিকে ঘরের মধ্যে এনে বাস্তু দোষ কাটায়। বাস্তুতে এই কৃষ্টাল বল বা পিরামিড বা পেন্সিলকে বিভিন্ন ভাবে ব্যবহার করা হয়ে থেকে এবং যথেষ্ট কার্যকারিতা আছে এর। তবে কৃষ্টাল বল বা পিরামিড বা পেন্সিলকে শক্তি সঞ্চারিত করিয়ে নেওয়া উচিৎ তাতে এগুলি বাস্তুর উপর ভালো কাজ করে নচেৎ বেকার ব্যবহার করা হবে। পূজা অর্চনা করেও বাস্তু ঠিক করা যায়। সব শেষে কিছু ক্তহা লিখি, মেনে চলার চেষ্টা করুন, বালো ফল পাবেন। শোয়ার বিছানা কোন বিমের তলায় রাখবেন না। বাড়ির দরজা সব সময় ডান দিকে খুলবে। সমস্ত দরজার পাল্লা যেন ভিতর দিকে খোলে। হনুমানজির কোন ছবি যেন দক্ষিণ পূর্ব দিকে না থাকে। প্রতিটি বাড়িতে একটি পূজা ঘর বা ঠাকুর ঘর যেন থাকে। কোন দরজা বা জানালা খোলার সময় যেন আওয়াজ না করে, যদি করে তার জন্য ব্যবস্থা নিতে হবে। কাঁটা যুক্ত কন গাছ বা ক্যাকটাস জাতিয় কোন গাছ যেন বাড়ির মধ্যে না থাকে। রান্নাঘরে যে কোন ভারি জিনিস বা ফ্রিজ বা গ্রাইন্ডার হয় দক্ষিন দিকে বা পশ্চিম দিকে রাখাটাই শ্রেয়। বক্স খাট ঘরে ব্যবহার না করা ভালো। বাডিতে কোন রাগি পুরুষ বা মহিলার ছবি বা উত্তেজক ছবি বা যুদ্ধের ছবি বা ক্রন্দনরত কোন মহিলার ছবি বা ঈগল, পাঁচার ছবি না রাখাই শ্রেয়, থাকলে এখনই খুলে ফেলুন। সব শেষে বলি প্রতিদিন সকাল সন্ধ্যা “ওঁ নমহঃ ভগবতী বাস্তু দেবতায় নমহঃ” এই মন্ত্রটি ১০৮ বার করে পাঠ করুন। যদি না পারেন প্রতি দিন দশবার করে পাঠ করুন ও মঙ্গলবার ১০৮ বার পাঠ করুন। অবশ্যই কোন একজন ভালো বাস্তুবীদের পরামর্শ নিতে ভুলবেন না।
৬। বাড়ির কোথায় ভারী বা হাল্কা জিনিস রাখতে হবে ও কোন জায়গাটা ফাঁকা রাখতে হবে ঘন কালো জায়গায় ভারী জিনিস রাখার পক্ষে ভালো। তুলনা মূলক ভাবে হাল্কা কালো জায়গায় হাল্কা জিনিস রাখার পক্ষে ভালো। আর একদম হাল্কা কালো জায়গায় কোন জিনিস না রাখলেই ভালো। জায়গাটা ফাকা থাকাই ভালো। মাঝের চারটি বক্স বাস্তুর ব্রহ্ম স্থান। উত্তর পূর্ব দিকে কোন ঘর থাকলে তা স্বামী স্ত্রীর শোয়ার ঘর হিসাবে ব্যাবহার না করাই উচিৎ। দক্ষিণ বা দক্ষিণ পশ্চিম দিকের ঘর শোয়ার ঘর হিসাবে ব্যবহার করা ভালো। বাড়ির যিনি বয়ঃজ্যেষ্ট পুরুষ বা যে প্রধান রোজগেরে পুরুষ তিনি দক্ষিণ দিকে মাথা করে বিছানার দক্ষিণ পশ্চিম দিক ঘেঁষে শোবেন। এতে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে সম্পর্ক ভালো থাকে, নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া ভালো হয়, কোন অশান্তি হলেও পুনরায় তা বন্ধনে পরিণত হয়। যারা মা হতে চলেছেন তারা কখনই উত্তর দিকে মাথা দিয়ে শোবেন না সব সময় দক্ষিণ দিকে মাথা দিয়ে শোবেন। যাদের ঘুমের সমস্যা আছে তারাও দক্ষিণ দিকে মাথা দিয়ে শোবেন।
কারখানা বা বাণিজ্য কুঠির বাস্তুঃ
১. কারখানা বা বাণিজ্য কুঠির ঢোকার রাস্তা বা প্রধান দরজা সব সময় বড় হওয়া উচিৎ। কোন ঘিঞ্জি গলি দিয়ে ঢোকার রাস্তা বা প্রধান দরজা না হওয়াই ভালো।
২. কারখানার বা বাণিজ্য কুঠির এর জমির মাঝখানে কোন গর্ত বা কোন ধরনের পীলার না থাকা বাঞ্ছনীয়। থাকলে কারখানা মালিকের ভীষন রকম আর্থিক অনটন থাকবে।
৩। কারখানার জমিতে মাটির নিচে যদি কোন তরল পদার্থ রাখার জায়গা করতে হয় যেমন তেল, ডিজেল, পেট্রল, কোন রাসায়নিক পদার্থের রাখার জায়গা করতে হয় তবে তা জমির পূর্ব দিকে করা সব সময় ভালো।
৪। কারখানার জেনারেটার ঘর বা ইলেকট্রিক ঘর বা মিটার ঘর বা বয়লার বা যে কোন বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি রাখার জায়গা কারখানার জমির দক্ষিণ-পূর্ব কোনে হওয়াই শ্রেয় নতুবা অন্য কোন দিকে হলে কারখানা মালিকের নানান সমস্যা দেখা দেবে, মানসিক অস্থিরতা দেখা দেবে।
৫। কারখানার পাহারাদারের ঘরও দক্ষিণ-পূর্ব কোনে হওয়াই শ্রেয়।
৬। কারখানার জন্য ব্যবহৃত জলের জায়গা বা ট্যাঙ্ক বা নলকূপ সব সময় উত্তর বা উত্তর পূর্ব বা পূর্ব দিকে হওয়া ভালো, এতে আর্থিক অবস্থার উন্নতি হয়।
৭। কারখানার চাল বা সেড এর ঢাল উত্তর বা উত্তর পূর্ব বা পূর্ব দিকে হওয়া ভালো
৮। কারখানায় ব্যবহৃত অতি ভারী যন্ত্রপাতি বা মেশিনপত্র দক্ষিণ, দক্ষিণপশ্চিম বা পশ্চিম দিকে রাখাটা ভালো। তার ভিতর সব থাকে ভারী যে যন্ত্রটি সেটি দক্ষিণপশ্চিম দিকে রাকাই শ্রেয়। অন্য স্থানে এগুলি বসালে মাঝেমধ্যে কাজে ব্যাঘাত ঘটতে পারে, মাশিন গুলি ঠিক মতন কাজ নাও করতে পারে।
৯। কারখানায় তৈরী মালপত্র কারখানার উত্তর পশ্চিম দিকে রাখাটা শ্রেয়। ও কিছু কাঁচা মাল পূর্ব দিকে রাখতে হবে। কারখানার তৈরী মাল কারখানার উত্তর দিকের কোন দরজা দিয়ে সরবরাহ (supply/delivery) করলে ব্যবসার উন্নতি হবে।
১০। কারখানার কাজের জন্য নতুন কোন মেশিন বসাতে গেলে যদি মাটি গর্ত করে বসাতে হয় তবে তা কারখানার পূর্ব দকে বসানো উচিৎ।
১১। কাঁচা মাল ও ভাঙ্গাচোরা মালের গুদামঘর সব সময় দক্ষিণ পশ্চিম দিকা হওয়া ভালো।
১২। কারখানার কর্মচারীদের যদি কারখানার জমির ভিতর থাকার ব্যবস্থা করতে হয় তবে তা উত্তর পশ্চিম দিকে করতে হবে।
১২। কারখানার মালিকদের প্রতি একটি অনুরোধ, ধরুন একই জমিতে দুইজন বা তার বেশি জন মিলে নিজ নিজ কারখানা চালান তবে প্রত্যেকের এলাকা ঐ জমির মধ্যে পাঁচিল দিয়ে ভাগ করে নেওয়া উচিৎ, নচেৎ ব্যবসায় লোক্সানের প্রবণতা থাকে, বা ব্যবসায় ক্ষতি হয়।
১৩। কোন পরীক্ষাগার বা গবেষনাগার বা প্রধান অফিস কারখানার জমির পশ্চিম দিকে করতে ভালো। উত্তর পশ্চিম বা পশ্চিম দিকের উত্তর দিকেও করা যেতে পারে।
১৪। কারখানার যাবতিয় পয়ঃপ্রণালী বা জল বেরোবার রাস্তা না নালার ব্যবস্থা উত্তর দিক থেকে বা পূর্ব দিক থেকে করা উচিৎ।
১৫। কারখানার দোতলায় যাওয়ার সিঁড়ি দক্ষিণ দিক থেকে বা পশ্চিম দিক থেকে হওয়া ভালো।
১৬। বড় কোন জলের ট্যাংক বা উচু জলের ট্যাংক কারখানার জমির উত্তর-পশ্চিম বা পশ্চিম দিকে করা উচিৎ। উত্তর-পূর্বে কখনই নয়।
১৭। অনেক কারখানায় ওজন করার যন্ত্র থাকে। বড় ওজন যন্ত্র যদি কোন কারখানায় বসানোর প্রয়োজন হয় তবে তা কারখানার জমির উত্তর দিকের মধ্যিখানে বা পূর্ব দিকের মধ্যিখানে বা উত্তর-পশ্চিম দিকে।
১৮। কারখানার ভিতর যে বিল্ডিং তৈরী হবে তাতে একটা জিনিষ মনে রাখা প্রয়োজন তা হল এমন ভাবে বিল্ডিংটি তৈরী করতে হবে যাতে বিল্ডিংয়ের ভিতর প্রচুর আলো বাতাস খেলে (ইংরাজীতে যাকে বলে ক্রশ ভেন্টিলেশান), ভোরের সূর্য্য রশ্মি যেন বিল্ডিংয়ের ভিতর ঢোকে তাতে ব্যবসার উন্নতি হয়। কারখানার পরিবেশ ভালো হয়।
১৯। কারখানায় যত ছোট বা বড় গাড়ি থাকবে বা যে সব বড় বা ছোট আসবে বা ঢুকবে তাদের রাখার ব্যবস্থা – ছোট গাড়ি উত্তর দিকে বা পূর্ব দিকে রাখতে হবে ও বড় গাড়ি বা লরি রাখতে হবে পশ্চিম দিকে।
ক্রমশ—-