এক এক জন মানুষ এক এক রকম রং পছন্দ করেন। রং পছন্দ করা থেকে মানুষের আত্মিক অবস্থা বা অত্মঃপ্রকৃতি বা অন্তরের মহত্মঃ বোঝা যায়, মনের অবস্থাও বোঝা যায়। কিছু রং দেখে মানুষ বেশ আনন্দ পায় আবার কিছু রং দেখে সেই মানুষই উত্তেজিত হয়ে পড়ে বা পছন্দ করে না। এটা আমরা লক্ষ্য করেছি যে অপরের পছন্দ করা রং বা অপরের প্রীয় রং দেখে আমাদের মধ্যে কোন প্রতিক্রিয়া হয়না। গভীর ভাবে যদি আমরা এই বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করি তখন আমরা জানতে পারবো প্রতিটি রং এর বিশিষ্ট আমাদের মনকে তরঙ্গায়িত করে বা আলড়িত করে এবং তা মনের মধ্যে বেশ প্রসারিত হয় ফলে আমরা একটি স্পন্দন বা একটি শিহরন অনুভব করি। এই স্পন্দন বা শিহরন যখন আমাদের মনের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয় তখন তা আমাদের ভাল লাগে নচেৎ আমাদের অস্বস্তি বোধ হয় বা রাগ হয়।
পৃথিবী যদি রং বিহীন হতো তবে আমার ধারণা আমাদের কারুর মনে শান্তি থাকতো না। রং আমাদের চোখকেই শুধু আনন্দ দেয় তা নয় রং আমাদের ওপর অনেক প্রতিক্রিয়া করে। বর্তমান যুগে রঙকে ব্যবহার করে বিভিন্ন রোগ সারানো সারানো হচ্ছে। জ্যোতিষ বিদ্যার সাহায্যে আমরা ভূত, ভবিষ্যৎ ও বর্তমান জানতে পারি এবং আমরা জ্যোতিষিরা এই জ্যোতিষ বিদ্যার ওপর নির্ভর করে বা জ্যোতিষ বিদ্যার সাহায্য নিয়ে মানুষকে তার সমস্যা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার চেষ্টা করি। মানুষকে তার সমস্যা থেকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য আমরা রত্ন, যন্ত্রম, মন্ত্র ব্যবহার করে থাকি। এ ছাড়াও রং এর ব্যবহার করেও আমরা অনেক সমস্যার সমাধান করতে পারি। আমরা সবাই জানি এই রং এর মূল উৎস আলো যা আমরা সূর্য থেকে পাই এবং এই সূর্যর চারি পাশে গ্রহগুলি ঘুরছে ও রবি থেকে আলো পাচ্ছে, শক্তি পাচ্ছে। বে, নি, আ, স, হ, ক, লা (বেগুনি, নিল, আকাশি, সবুজ, হলুদ, কমলা ও লাল) আলোর এই সাতটি রং থেকে আমরা সবাই শক্তি পাই। গ্রহ প্রতিকার হিসাবে আমরা যে রত্ন দিই তাতেও এই সাতটি রঙই আছে। রত্ন ছাড়াও এই রং এর ব্যবহার করে আমরা গ্রহ শান্তি করতে পারি।
জেনে নিই কোন গ্রহ কি রং নির্দেশ করেঃ রবি (Sun) উজ্জল কমলা, চন্দ্র (Moon) বিবর্ণ বা খুব হালকা হলুদ (প্রায় সাদা), মঙ্গল (Mars) লাল, বুধ (Mercury) সবুজ, বৃহস্পতি (Jupiter) হলুদ, শুক্র (Venus) স্বচ্ছ সাদা বা খুব হালকা গোলাপী, শনি (Saturn) গাড় নীল বা কালো (রাহু – কাল, কেতু – লাল)।
প্রতিটি রঙ এর বিভিন্ন ধরনের চরিত্র আছে ও তার প্রভাব মানুষের উপর আছে। যেমন –
কমলা রং – সব্জি বা ফলের মধ্যে এই রং দেখতে পাওয়া যায়, পুষ্ঠিবদ্ধনকারি রং, চারিভূতের (তেজ, মরুৎ, ক্ষিতি ও অপ্) এক আকর্শক প্রাণশক্তি, ক্ষমতা বা কর্মশক্তি। এই রং মানুষের সৎ চরিত্র, কর্তব্যনিষ্ট, প্রেমনিষ্ট, রাজভক্ত, সামাজিকতা, পরস্পর মেলামেশা, সমাজবদ্ধতা বা সঙ্ঘবদ্ধতা, স্ফুর্তি ইত্যাদী গুন বা রূপগুলিকে বঝায় আবার অপরের মতামত বা উপদেশে প্রভাবিত হওয়াকে বোঝায়। এই রং ব্যক্তির আত্মার মহত্ম, ঔদার্য বদান্যতাকে বঝায়, ছলনাহীনতা, অকৃত্রিম ও খাঁটি হয়। অঙ্গভঙ্গী ইচ্ছাজ্ঞাপক বা বন্ধুতবপূর্ণ হয়। নিজের সুনামের অনুপ্রেরণায় চলে, অসৎ চরিত্র, অসৎ রঙ্গপ্রিয় হয় না।
লাল রং – রক্তসঞ্চালনকে নিয়মিত করার জন্য এই রং ব্যবহার করা হয়। কিন্তু মানসিক পীড়া বা ব্যাধিতে যারা ভুগছেন তাদের ক্ষেত্রে এই রং একদম ঠিক নয়। লাল রং অধৈর্যের প্রতীক, ঘন ঘন মত পরিবর্তন মানসিকতার, বর্হিমুখী মনোভাব ইত্যাদী নির্দেশ করে। লাল রং এর আরও কয়েকটি গুণ হল করুণা, যুক্তি পরামর্শ দ্বারা কাজ করা বা কাজ করান, বিশ্বাস বা প্রত্যয় উৎপন্ন করা, প্রেরণা, আশাবাদী কিন্তু অসন্তোষ প্রকাশ করতে বা বদনাম করতে পিছপা হয় না। স্বতঃস্ফুর্ত, স্বাভাবিক, স্বাধীন, ইচ্ছামূলক স্বভাবের, সহজ ভাবে কথা বলতে ভালবাসে। বিবাহ বর্হিভুত সম্পর্ক থা্কে ও কামুক হ্য়।
নীল রং – নীল রং চাপ দিয়ে নিচু করা, হীন করা, দমানো, উৎসাহ নষ্ট করা, মনোভঙ্গ করা, বিষন্নতা ইত্যাদী বঝায়, অবশ্যই নীল রঙটি গাড় হওয়া চাই। কারুর যদি নীল রং পছন্দ হয় তবে সে অর্ন্তদর্শী হয়, অভীষ্ট সাধনে রত বা নিয়জিত হয়, যথাযথ হয়, আলোচ্য সমস্যা সমাধানে সহায়ক হয়। নীল রং নিয়ামক প্রবাহকালে বা কঠিন চাপে সংরক্ষ্ণশীলতা, পরিমিততা বঝায়। নীল রং যারা পছন্দ করেন তারা তাদের কামনা, আকাঙ্খা, আবেগ, কামচ্ছাস ইত্যাদীকে নিয়ন্ত্রন করতে জানে, সংযম করতে জানে আবার অপরের ব্যাপারে বা প্রয়জনে এরা খুব অনুভবনশীল হয়, ক্রীয়াশীল হয়, সুবেদী হয়। এরা বিশ্বস্ত বন্ধু হয় ও সুন্দর ও সুস্থ্য জীবন যাপন করে।
সবুজ রং – বর্ষাঋতুর পর শরৎঋতু, এই শরৎ ঋতুতে যে সবুজ রং দেখা যায় তা আমাদের নতুন জীবনের ঘোষণা করে। সবুজ রং কর্তব্যপরায়নতাকে নির্দেশ করে, সমাজসেবায় বা সামাজিক কর্মকান্ডে যথেষ্ট ক্রিয়াশীল এবং সমাজে সুনামের অধিকারী হয়। সবুজ রং সততার প্রতীক, সোজাসুজি বা তৎক্ষনাৎ কথা বলতে ভালবাসে, অবান্তর বিষয় পচ্ছন্দ করেনা। সাধারনত দেখা গেছে যারা সবুজ রং পচ্ছন্দ করেন তারা ভাল শিক্ষক হন। এরা আবার নিজেদের পরিবারের প্রতি আবেগপ্রবন হয় বা অনুভূতিশীল হয়।
আকাশী রং – আকাশী রং যারা পচ্ছন্দ করেন তারা বুদ্ধিমান হয়, বোধশক্তি সম্পন্ন হয়, রসিক হয়, হাস্যরসাত্মক হয়, বিচক্ষণ হয়। এদের সবদিকে নজর থাকে, সাধারণ লোকের চোখে অনেক কিছু এড়িয়ে গেলেও এদের চোখে চট করে এড়ায়না। ছোট খাটো প্ররচনায় বা উত্তেজনায় চট করে রেগে যায়। অল্প মনের দুঃখ, মনের ক্ষোভ প্রকাশের সময় এরা প্রবলভাবে আবেগপ্রবন হয়ে পড়ে, আত্মশ্লাঘা, অস্মিতা, অহংভাবপূর্ণ ব্যক্তি হয়। এরা রুচিশীল ভাবে ও সুস্থভাবে জীবন যাপন করতে ভালবাসে। এরা মহত্ত্ব ও ঔদার্যের প্রতীক হয়।
হলুদ রং – সব্জি বা ফল এর মধ্যে এই রং দেখা যায় এবং এই সব্জি বা ফল আমাদের বা প্রাণীর পাকস্থলির রেচক হিসাবে কাজ করে, আবার আমাদের মাংসপেশীকে সতেজ রাখে ফলে দৈহিক শক্তি বৃদ্ধি পায় ও তেজ বারে। এই রং যারা পছন্দ করে তারা প্রাণশক্তিপূর্ণ হয়, অত্যুজ্জ্বল চিন্তাভাবনা হয় এদের, এদের চিন্তাভাবনার মধ্যে একটা গঠনমূলক ভাব দেখা যায়। এদের মনে অনেক কিছু করার ইচ্ছা থাকে কিন্তু করে উঠতে পারেনা।এরা লাজুক প্রকৃতির হয়, একা থাকতে ভালবাসে। এরা
কিন্তু নির্ভরযোগ্য বন্ধু হয়, লোক দেখিয়ে সন্মান আদায় করতে এরা ভালবাসেনা, এরা ভালবাসা দিয়ে সন্মান আদায় করে নিতে জানে। এরা বিচক্ষণ ও দূরদৃষ্টি সম্পন্ন হয়।
সব শেষে বাকি রইল বেগুনী – বেগুনী রংটি গাড়, সাধারণত গাড় রঙয়ে প্রতিকৃয়া ভাল হয়না, কিন্তু এই রঙটির ক্ষেত্রে একটি অন্য মানে বঝায়। এই রং যারা পছন্দ করে তারা তাদের পরিকল্পনাকে একটি সুন্দর রূপ দিতে পারে। এরা শিল্পকলায়, চারুকলায় বেশ পারদর্শি হয়। যে কোন কাজের খুঁটিনাটি বিষয়ে এরা বেশ সজাগ, সঞ্চয়ী হয়, মিতব্যয়ি হয়, নিজের বিশ্বাসে অভেদ্য হয়, অটল হয়। নির্ভরযগ্যতা, সৃজনশীলতা, একাত্ম হওয়া এদের গুণাবলির মধ্যে পড়ে।
এরা ধৈর্য্যসহকারে যে কোন কাজ সম্পন্ন করতে পারে বা প্রকৃত মূল্যায়ন করে যে কোন কাজ আদায় করে নিতে পারে।
Chromo therapy বা Chromopathy বলে ইংরাজীতে একটা কথা আছে। আসলে এটি একটি চিকিৎসা যা রং দিয়ে করা হয় (colour therapy)। আমরা অনেকেই এই chromo therapy সম্বন্ধে ওয়াকিবহাল। রঙের ব্যবহারে বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা করা হয়। সূর্য রশ্মী থেকে অনেক রং বেরোয়, অনেক রং সুপ্ত অবস্থায় সূর্য রশ্মীর মধ্যে আছে যা আমরা জানিনা। এই সূর্য রশ্মীকে জলের সাথে ব্যবহার করে চিকিৎসা করা হয়। ঠিক তেমন ভাবেই জ্যোতিষবিদ্যায় রঙের ব্যবহার করা হয়। ভারতে ভারতীয় জ্যোতিষবিদ্যার সাহায্যে আমরা মানুষের দুঃখ কষ্ট দূর করে থাকি বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করে যেমন মন্ত্র, যন্ত্র, রত্ন ইত্যাদী দিয়ে। মানুষের শরীর স্বাস্থ্য মান যশ ইত্যাদীর কারক গ্রহ হল রবি যার থেকে আমরা উপরে উল্লিখিত সাতটি রং পাই। আবার এই সূর্যের চারি পাশে সমস্ত গ্রহগুলি ঘুরছে। আর সেই গ্রহগুলি ঐ সূর্য থেকে সূর্য রশ্মি পায়। জম্নছকে অবস্থানগত ভাবে বিভিন্ন জায়গায় ভাল খারাপ দুই প্রকার গ্রহই বসে আছে। খারাপ গ্রহের খারাপ ফল থেকে নিস্কৃতি পাওয়ার জন্য আমরা রত্ন ব্যবহার করে থাকি আর এই রত্নের রঙের মাধ্যমে আমরা আমাদের দেহজ্যোতিকে বাড়াই। এই দেহজ্যোতিকে বাড়িয়েই আমরা আমাদের সমস্যার সমাধান করে থাকি। রত্ন ব্যবহার ছাড়াও রঙ্গিন জামা পড়েও আমরা আমাদের সমস্যার সমাধান করতে পারি। আমরা যদি সপ্তাহে সাত দিনে সাতটি রঙের জামা বা কাপড় পরতে পারি তাতেও অনেক সমস্যার সমাধান আমরা করতে পারি। জেনে নেওয়া যাক কোন কোন বার কোন কোন গ্রহ নির্দেশ করে, কোন কোন রঙ নির্দেশ করে ও কি কি চরিত্র নির্দেশ করে।
বৈদিক জ্যোতিষীক এক এক বারে এক একটি রঙের ব্যবহারের কথার উল্লেখ আছে। যেমন – রবিবার, রবি গ্রহকে নির্দেশ করে, আত্মা, স্বাস্থ্য, শারীরিক অবস্থা, আত্মশ্লাঘা, অহঙ্কার, নিজের সত্তা অন্যের সত্তায় লীন করেতার শোক দুঃখ ও অন্যান্য অভিজ্ঞতা কল্পনায় নিজে অনুভব করার শক্তি, কর্মশক্তি, মহিমা, গৌরব, রাজনীতি, শ্রদ্ধা, সন্মান, সাহস, পিতা ইত্যাদী নির্দেশ করে। রবিবারে খুব হালকা লাল বা হলুদ বা কমলা রঙের জামা কাপড় পড়লে শুভ ফল দেয়।
সোমবার – চন্দ্র গ্রহকে নির্দেশ করে, নির্দেশ করে মন মানসিকতা, সন্মান, ক্ষমতা, আবেগ, মানসিকচাঞ্চল্য, রক্ত, জল, ভ্রম্ন, জনপ্রীয়তা, ব্যক্তিতব, দুধ ইত্যাদী ইত্যাদী। সোমবার দিন সাদা বা খুব হালকা আকাশি বা হালকা রুপালী রঙের কাপড় জামা পড়লে ভাল হয়। প্রায় সাদা যেকোন হালকা রঙ ব্যবহার করা যেতে পারে।
মঙ্গলবার – মঙ্গল গ্রহকে নির্দেশ করে, সাহস, ক্ষমতা, জমি জায়গা, অদম্য মানসিক শক্তি, স্থাবর সম্পত্তি, রাগ, ঘৃণা, পাপ, প্রতিহিংসাপরায়নতা, অসচ্চরিত্র ইত্যাদী নির্দেশ করে। এই দিনে গাড় লাল বা কমলা বা তামাটে রঙের জামা কাপড় পরলে ভাল ফল দেয়।
বুধবার – বুধ গ্রহকে নির্দেশ করে, বুধ গ্রহের কারকত্ব হল বুদ্ধিমত্তা, লেখাপড়া, ব্যবসা বানিজ্য, অঙ্ক, দক্ষতা, কথা বলা, কালা যাদু, বেদ পূরাণ, দত্তক সন্তান, মামা, অলঙ্কারপূর্ণ বাকপটুতা, মন্দির, বধ শক্তি, উদ্ভাবনী শক্তি ইত্যাদী। বুধবার দিন সবুজ বা সবুজের কাছাকাছি যেকোন রঙের জামাকাপড় পড়তে পারে।
বৃহস্পতিবার – বৃহস্পতি গ্রহকে নির্দেশ করে। স্নতান, স্মপ্ততি, স্বামী, গুরু, বুদ্ধিমত্তা, লেখাপড়া, যুক্তি, সৎ গুণ, জ্ঞান, উৎসর্জন, ধার্মীকতা, ভজন, ত্যাগ, বিশবাস, রাহসিক সন্মান, উন্নতি, জ্যোতিষ ইত্যাদী নির্দেশ করে। হলুদ বা লেমন ইয়োলো (পাকা লেবুর যে রং) রঙের জামা কাপড় ব্যবহার করতে পারলে ভাল।
শুক্রবার – শুক্র গ্রহকে নির্দেশ করে, স্ত্রী, বিবাহ, কাম, গহনা, প্রসাধনী দ্রব্যাদী, যানবাহ্ন, আবেগ, সান্তনা, আরামদায়ক বস্তু, যৌন আকাঙ্খা বা উত্তেজনা, সুন্দর গ্নধ, সেন্ত, বাল জামাকাপড়, গান বাজনা, সুর, ল্য, নাতক, সিনেমা, ইন্দ্রিয়পরায়নতা, কাম প্রেরণা সংক্রান্ত, রুপা, রত্ন, প্ল্যাতিনাম, ফুল ইত্যাদী নির্দেশ করে। শুক্রবার গলাপী বা হালকা ঘিয়ে রঙ বা সাদা রঙের জামা পরা যেতে পারে।
শনিবার – শনি গ্রহকে নির্দেশ করে, শনি গ্রহ নির্দেশ করে আয়ু, যৎপরোনাস্তি দুঃখপূর্ণ দরিদ্র হীন বা অবজ্ঞাত অবস্থা, বৃদ্ধাবস্থা, মৃত্যু, রগ, দারিদ্র, পাপ, ভ্য, বাধা, ধৈর্য্য, কুড়েমি, কঠিন পরিশ্রম, দাসত্ত, খনির শ্রমিক, বিজ্ঞান, প্রকৃতিক দুর্যগ, ব্যক্তির চরম দুর্যগ, বিষ, অস ন্মান, অমর্যাদা, অপমান, চাক্র, শ্রমিক ইত্যাদী নির্দেশ করে। এই দিন খুব গাড় নীল বা খয়েরি বা কালচে ভাবের কোন রঙের কাপড় জামা পরলে ভাল, গাড় নীল রঙ শনির অশুভ দিকগুলিকে কাটায়।
রাশিগত ভাবে রঙের ব্যবহার হল – মেষ রাশি যাদের তারা লাল, বা সাদাটে বা হলদেটে রঙ ব্যবহার করলে ভাল। নীল, সবুজ বা কাল রঙ ব্যবহার না করাই ভাল। বৃষ রাশি যাদের তারা গলাপী, সাদা বা হালকা সবুজ রঙ ব্যবহার করুন কিন্তু হলুদ বা লাল ব্যবহার না করাই ভাল। মিথুন রাশির জাতকেরা সবুজ বা হালকা হলুদ বা গোলাপি বা সাদা ব্যবহার করতে পারেন। নীল ওঁ লাল রঙ এদের পক্ষে ভালো নয়। রাশিচক্রের চতুর্থ রাশি কর্কট সাদা, হলুদ বা লাল কিন্তু সবুজ বা লাল নয়। সিংহ রাশির জন্য কমলা বা সোনালী কিন্তু সাদা বা নীল নয়। কন্যা রাশির পক্ষে সবুজ, সাদা বা হালকা হলুদ ভাল। লাল কখনই ভালো ন্য। তুলা রাশির পক্ষে হালকা নীল বা সাদা রঙ বা যে কন উজ্জল রঙ ভাল ফল দেয় কিন্তু লাল কখনই নয়। বৃশ্চিক রাশির ক্ষেত্রে লাল, সাদা, লালচে খ্যেরী, কমলা হলুদ, নীল রঙ এদের পক্ষে ভাল নয়। ধনু রাশির ক্ষেত্রে গাড় হলুদ বা কমলা বা হাল্কা সবুজ বা ঘিয়ে রঙ ব্যবহার করলে ভাল, নীল কখনই নয়। মকর রাশির ক্ষেত্রে বেগুনি-লাল, বেগুনি, নিল-বেগুনি, ময়ূরপঙ্খী রঙ, খাকি, কালো খুব গাড় খয়েরি বা সবুজ ব্যবহার করতে পারে, লাল , হলুদ থেকে দূরে থাকা ভাল। কুম্ভ রাশির ক্ষেত্রে হালকা নিল বা হালকা বেগুনি-লাল, বেগুনি, নিল-বেগুনি, ময়ূরপঙ্খী রঙ ভালো আবার সাদা বা কোন উজ্জল রঙও ভালো কিন্তু গাড় নিল বা গাড় সবুজ ভালো নয়। সব শেষে মীন রাশির ক্ষেত্রে হলুদ, কমলা, গোলাপি ইত্যাদি রঙ ভালো কিন্তু কাল বা গাড় উজ্জল কোন রঙ ভালো নয়।
এক একটি গ্রহ কিছু সংখ্যাকে নির্দেশ করে ও সেই গ্রহ সেই বারকে নির্দেশ করে। সেই হিসাবে যাদের জন্ম তারিখ ওই সংখ্যাগুলির একটি করে, তো সেই গ্রহের জন্য যে রঙ নির্দিষ্ট আছে সেই রঙ